শীতকালীন সবজির মধ্যে পেঁয়াজ পাতা বেশ সহজলভ্য। একে স্প্রিং অনিওন বা সবুজ পেঁয়াজও বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উত্স এই পেঁয়াজ পাতা। এবার দেখে নেয়া যাক পেঁয়াজ পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কি ধরনের উপকার করে থাকে-
পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া পেঁয়াজ পাতার সালফার করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।
অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠাণ্ডা,ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যান্সাররোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারি ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীর জটিলতার ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার হচ্ছে স্প্রিং অনিওন। তাছাড়া রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজমে সহায়ক।
পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এছাড়াও শরীরে ভিটামিন বি১-এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি।
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েডের উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ।
(ওয়াং হাইমান উর্মি/মান্না)