প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর চীনের অর্থনীতির নতুন ও পুরনো চালিকাশক্তিগুলো একটি স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আইএফবি'র উপ-পরিচালক ও প্রতিবেদনের প্রধান সম্পাদক ইন চিয়ানফেং বলেন, ২০১৬ সালে চীনের অর্থনীতির প্রধান সংকট হচ্ছে মূল্যসংকোচন বা ডিফ্লেশান। তা ছাড়া, এ বছর রেনমিনপির বিনিময় হার ওঠানামা করবে এবং জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবও অর্থনীতিতে পড়তে দেখা যাবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতির ওপর চীনের বহুমুখী নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাগুলোর ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা দরকার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সীমা ধরে রাখা কঠিনতর হবে। এ প্রসঙ্গে ইন চিয়ান ফেং বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দীর্ঘকাল ধরে কম থাকলে, যথাসময়ে বহুমুখী নিয়ন্ত্রণমূলক আর্থিকনীতি গ্রহণ ও মুদ্রানীতি শিথিল করতে হবে।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রেনমিনপি'কে 'স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস্' বা এসডিআর বাস্কেটে অন্তর্ভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে রেনমিনপি'র আন্তর্জাতিকায়ন প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের উচিত অধিকতর ব্যবস্থা নিয়ে রেনমিনপি'র মূল্যহ্রাস প্রবণতার ক্ষেত্রে অভিষ্ট পরিবর্তন আনা। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ও অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল সহকারী তিং জিচিয়ে মনে করেন, ভবিষ্যতে দেশি-বিদেশি মুদ্রাবাজারের রেনমিনপি বিনিময়-হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ার সংস্কারের জন্য আরো ভাল পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন সরকার "ত্রয়োদশ পাঁচসালা পরিকল্পনা" চলাকালে অর্থনীতিতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পদ্ধতি খুঁজে বের করেছে। ইয়াংসি নদী অর্থনৈতিক অঞ্চল, বেইজিং-থিয়ানচিন-হোপেইং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চল—এই তিনটি রাষ্ট্রীয় কৌশল কার্যকর করার মাধ্যমে, আঞ্চলিক অর্থনীতির সমন্বিত উন্নয়ন ঘটবে, নগরায়ন ত্বরান্বিত হবে। এতে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও অর্জিত হবে। আইএফবি'র উপ-পরিচালক হু বিন মনে করেন, অব্যাহত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে চীনের আর্থিক ব্যবস্থার সংস্কারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা খুবই প্রয়োজন। (প্রেমা/আলিম)