প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ১৪৪ জন। ২০১৫ সালে তা নেমে এসেছে ৩৮ জনে। এই সময়ে বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার ৫৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু ২০১৫ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০০০ সালে যেই প্রত্যাশিত হারে শিশু মৃত্যু হ্রাস পেয়েছিল,তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি ২০১৫ সাল পর্যন্ত। সে কারণেই বিশ্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারি ডাইরেক্টর জেনারেল ড. ফ্লাভিয়া বাস্তিরো বলেছেন, আমরা এখন জানি কিভাবে শিশু মৃত্যুহার হ্রাস করা সম্ভব। বাচ্চাদের বাহিরের স্পর্শ থেকে রক্ষা বা মায়ের শাল দুধ খাওয়ানো এবং ছোট-দুর্বল শিশুদের বিশেষ সেবা (ইনটেনসিভ কেয়ার) থেকে শুরু করে ছোট ছোট বেশ কিছু পদক্ষেপ কয়েক হাজার শিশুর জীবন রক্ষা করতে পারে।
এদিকে 'লেভেল অ্যান্ড ট্রেইন্ড ইন চাইল্ড মরটালিটি' শিরোনামের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক গীতা রাও গুপ্তা বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় অর্জন। কিন্তু এখনো অনেক শিশু এমন সব রোগে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে ,যেগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
রিপোর্টে জানানো হয়, ১৯৯০ সালে বিশ্বে ১ কোটি ২৭ লাখ শিশু পাঁচ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যেত। কিন্তু বর্তমানে তা ৬০ লাখে নেমে এসেছে। এই অগ্রগতির পরও বিশ্বে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) পূরণ হচ্ছে না। ১৯৯০-২০১৫ সময়ে এই হার দুই তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ৫৩ শতাংশ কমানো গেছে।
বাংলাদেশের জন্য এমডিজিতে লক্ষ্য ছিল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু প্রতি হাজারে ৪৮ বা তার নিচে নামিয়ে আনা। গত বছরই তা ৪৬ এ নামিয়ে এনে বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণ করেছে। যে ১৯৫ দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউনিসেফ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তার মধ্যে ৬২টি দেশ এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে। রিপোর্টে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে পুষ্টিহীনতাকে দায়ী করা হয়েছে।
(মান্না)