'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'--০২০২
  2016-02-02 16:30:31  cri
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া।

বন্ধুরা, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ অনুষ্ঠানে আপনারা বিভিন্ন ছোট গল্প, আধুনিক ও প্রাচীন কবিতা, সাহিত্যিকের জীবনী ও তাদের কর্ম, উপন্যাস, নাটক- এক কথায় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে শুরু করা যাক, আজকের 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক অনুষ্ঠান।

আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতেই গত মাসের সংস্কৃতি সম্পর্কিত কিছু খবর আপনাদের শোনাবো।

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ২১ জানুয়ারি কায়রোর প্রাচীন লাক্সর মন্দির চত্বরে চীন-মিশর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

দু'নেতা ঐতিহ্যবাহী লাক্সর মন্দির পরিদর্শন করে দু'দেশের প্রাচীন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন। পরস্পরের সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেন।

প্রেসিডেন্ট সি বলেন, দু'দেশ সাংস্কৃতিকভাবে প্রাচীন দেশ। দু'পক্ষের উচিত সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করে জনগণের বন্ধুত্ব আরো গভীর করা। যাতে দু'দেশের অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, প্রেসিডেন্ট সি'র সফরে মিশরের জনগণের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। মহাচীনের সংস্কৃতির প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। চীনা জনগণের উন্নয়নকে মিশর শ্রদ্ধা করে।

তিনি প্রত্যাশা করেন, দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় আরো গভীর হবে। পরস্পরের আন্তরিক অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক চিরদিন স্থায়ী হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরকে চীন-মিশর সাংস্কৃতিক বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, চীন-বাংলাদেশ সম্মিলিতভাবে রেশমপথ বরাবর পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন করবে। বাংলাদেশে বৌদ্ধ সংস্কৃতির বেশ কিছু ঐতিহ্য রয়েছে, রয়েছে চীন সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহ। বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে এ দু'দেশ 'রেশমপথ' বরাবর পর্যটনশিল্পের বিকাশে কাজ করলে ভবিষ্যতে দু'দেশের পর্যটনক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চীনের জাতীয় পর্যটন ব্যুরোর পরিচালক লি জিন জাও(李今早) পর্যটন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক প্রচুর সম্পদ আছে। তাই বাংলাদেশ চীনের পর্যটনের বিষয় আরো বেশি প্রচার করবে। দেশে চীনা পর্যটকদের জন্য ভালো সুবিধা এবং পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ বাড়ছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণে চীনা পর্যটকের সংখ্যা ২০১৪ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।

চীনের জাতীয় পর্যটন ব্যুরোর পরিচালক লি জিন জাও বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে, বাংলাদেশ সরকার চীন উত্থাপিত 'রেশমপথ' ও 'সামুদ্রিক রেশমপথ' প্রস্তাব সমর্থন করেছে। এ সুযোগের ভিত্তিতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে রেশমপথ বরাবর পর্যটন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে ইচ্ছুক। এর পাশাপাশি দু'দেশের পর্যটন অবকাঠামো সংস্কার করা হবে। দু'দেশের পর্যটন ক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়নে কাজ করতে হবে আমাদের।

গত ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানস্থ চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ২০১৬ সালের চীনের বসন্ত উত্সব উপলক্ষ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে চীন ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমের সামনে এ বছরের চীনা বসন্ত উত্সবের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য ব্যাখ্যা করা হয়।

পাকিস্তানে চীনের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলার চেং কুও চিন, চীনের শিশু নাট্যশালার উপ-পরিচালক ফেং লি এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে চেং কুও চিন চীনের বসন্ত উত্সবের উত্পত্তি ও বিদেশে 'আনন্দময় বসন্ত উত্সব' অনুষ্ঠানের উন্নয়ন তুলে ধরেন । তিনি বলেন, ২০১৬ সাল হচ্ছে চীনের 'বানর বর্ষ'। তা বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের প্রতীক। তিনি আশা করেন, নতুন বছর দু'দেশের জনগণের জীবন অনেক সুখ ও আনন্দ বয়ে আনবে।

পাকিস্তানস্থ চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বসন্ত উত্সবকালে 'আনন্দময় বসন্ত উত্সব'সহ ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজিত হবে।

'২০১৬ চীন-ল্যাটিন আমেরিকা সাংস্কৃতিক বিনিময় বছর' চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সারা বছর চীন, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। এতে রয়েছে মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কিউবা, চিলি ও কোস্টারিকাসহ প্রায় ৩০টি দেশ।

'২০১৬ চীন-ল্যাটিন আমেরিকা সাংস্কৃতিক বিনিময় বছর' অনুষ্ঠান হলো নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত বৃহত্তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক যোগাযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক চু ছি বলেন, চীন-ল্যাটিন আমেরিকা সাংস্কৃতিক বিনিময় বছরে শিল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, বই ও পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় করা হবে। এতে রয়েছে, পরিবেশনামূলক শিল্পকলা, প্রদর্শনী, ফোরাম, ছবি প্রদর্শনী, বইমেলা, সংলাপ ও পর্যটন প্রচারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। প্রায় এক'শ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এতে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040