20160121topic.mp3
|
জানুয়ারি ২১: চীনা শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে জয় করলেন বাংলাদেশের দর্শকদের হৃদয়।
বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'আনন্দময় বসন্ত উত্সব-২০১৬' শীর্ষক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং ছিয়াং, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক আলি রাজ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিবিদ ও বিভিন্ন মহলের বন্ধুভাবাপন্ন ব্যক্তিসহ প্রায় এক হাজার দর্শক এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ করে 'আনন্দময় বসন্ত উত্সব' উপলক্ষ্যে অভিনন্দন বাণী পাঠান। বাণীতে তিনি বলেন, দু'দেশের জনগণের মাঝে এ ধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময় দেশ দুটোর সম্পর্ক বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ মিলনসূত্র। তিনি আশা করেন, এবারের অনুষ্ঠান দু'দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রদূত মা মিং ছিয়াং
রাষ্ট্রদূত মা মিং ছিয়াং অনুষ্ঠানে বলেন, ২০১৫ সালে চীন ও বাংলাদেশ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা নিরন্তরভাবে গভীরতর হয়েছে। দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো মজবুত ও বিকশিত হয়েছে। চীনের ঐতিহ্য অনুসারে, নববর্ষ শুরু হয় বসন্ত উত্সব থেকে। বসন্ত উত্সব হলো সবকিছু আবার জন্ম হওয়ার সময়, অর্থাত্ বসন্তকাল শুরু। এ থেকে নতুন বছরের প্রতি চীনা জনগণের সুন্দর ও নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্য আয় দেশের সারিতে প্রবেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। চীনের স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের স্বপ্নের মিল রয়েছে। এ প্রচেষ্টা দু'দেশের জনগণের সুন্দর জীবন অন্বেষণের প্রকাশ। তিনি বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন যথাশিগগিরই বাস্তবায়নে শুভ কামনা করেন।
চীনের থিয়েনচিন শিল্পকলা দল বাংলাদেশের দর্শকদের সামনে লোকসংগীত, গান, নৃত্য, দড়াবাজি ও উসুসহ নানা ধরণের সাংস্কৃতিক ধারা তুলে ধরে। চীনা শিল্পীদের চমত্কার উপস্থাপনা অনুষ্ঠানের দর্শকদের মুগ্ধ করে। থিয়েটার হল সারাক্ষণই তৃপ্ত ও আনন্দময় পরিবেশনে ভরপুর ছিলো। উল্লাস ও করতালির আওয়াজে বার বার মুখরিত হয়ে উঠে বিশাল হলরুম।
চীনের দড়াবাজি ও উসু শিল্পীদের অসাধারণ নৈপণ্য বাংলাদেশের দর্শকরা মুগ্ধ হন। চীনা গায়কদের গাওয়া বাংলা গান অনুষ্ঠানে উত্তাল জোয়ার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যম এ অনুষ্ঠানের খবর প্রচার করেছে।
চীনের চান্দ্র পঞ্জিকার নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে 'এক অঞ্চল এক পথ' কৌশলের কার্যকর সহায়তা দেওয়া এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করার উদ্দেশ্যে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থিয়েনচিন শিল্পকলা দলের ৩২জন সদস্য নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠায়। তারা ২০১৫ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন। (ইয়ু/মান্না)