সূচিতে দেখা যায়, ২০১৪ সালে দাখিল করার মেধাস্বত্বের পরিমাণ পঞ্চম বছরে এসেও অব্যাহতভাবে বেড়েছে। এক্ষেত্রে প্রধান বিষয়গুলো হলো কম্পিউটার প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং ডিজিটাল যোগাযোগ সামগ্রী।
আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি বাড়ছে ইরান, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার।
বন্ধুরা, খবরটি এখানে শেষ, এখন আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দিকে নজর দেবো। ভারতের বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় নাচের কথা আপনারা সবাই জানেন। এবার সেরকম একটি ঐতিহ্যবাহী নাচ 'কাত্থাকালি (Kathakali)---ভারতের নির্বাক মোহিনীশক্তি' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন শুনুন।
কোচি (Kochi) হলো ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কেরালা (Kerala) রাজ্যের দর্শনীয় একটি শহর। এ সুন্দর বন্দর শহরের জনগণ প্রতি মুহূর্তে অনন্য শৈল্পিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এ রাজ্যের নাচ শিল্পের রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। বিখ্যাত কাত্থাকালি (Kathakali) এ রাজ্যের গর্ব।
কোচিতে (Kochi) দর্শকরা প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবেশনা দেখতে পারেন। আর প্রতিটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই নাচ অপরিহার্য। ভারতের চারটি ক্লাসিক্যাল নাচের অন্যতম কাত্থাকালি নাচ। কাত্থাকালি নৃত্য উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের প্রভাব অনুভব করা যায়। কারণ দু'টি প্রধান ভারতীয় মহাকাব্যের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে কাত্থাকালি নাচটির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
সাধারণত কাত্থাকালি নাচের মঞ্চ তেমন বড় হয় না এবং এ নাচের বাদ্যযন্ত্রও বেশ সহজ। কিন্তু নাচের শিল্পীদের মেকাপ (makeup) বেশ জটিল। সাধারণত একেকজন নৃত্য শিল্পীর মেকাপে ৪ ঘণ্টা করে সময় লাগে। প্রতিটি কাত্থাকালি পরিবেশনার সময় একটি গল্প তুলে ধরা হয়। কিন্তু এতে কোনো কথা বলা হয় না। শিল্পীর মুখ, চোখ, চোখের ভুরু, ঠোঁট ও ঘাড়সহ সারা দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নড়াচড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করা হয়। অনেকে বলেন যে, চীনের পিকিং অপেরা ও ভারতের কাত্থাকালি নাচের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। সেজন্য কাত্থাকালি নাচকে চীনের পিকিং অপেরাও বলা হয়। তাদের একটি মিল হলো নজরকাড়া মেকাপ ও বিভিন্ন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব।
বর্তমানে কাত্থাকালি নাচ গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট মঞ্চ থেকে আধুনিক থিয়েটারে প্রবেশ করেছে। কিন্তু দুঃখজনক একটি বিষয় হলো, আগের চেয়ে কাত্থাকালি নাচের শিল্পী কমে যাচ্ছে। অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক হেরিটেজে পরিণত হয়েছে কাত্থাকালি নাচ। আমরা আশা করছি অন্যান্য শিল্পীরাও কাত্থাকালি নাচের প্রতি আগ্রহী হবেন এবং এ নাচ চর্চায় এগিয়ে আসবেন।
বন্ধুরা শুনছিলেন প্রতিবেদনটি। বিশেষজ্ঞ তৌহিদের পরিবেশনার আগে আমরা আরো একটি সাংস্কৃতিক খবর শুনবো।
চীনের কুয়াং চৌয়ে কাতারের কন্সুলার জেনারেল আলি ঘানেম আল-হাজারি (Ali Ghanem Al-Hajri) সম্প্রতি সি আর আই'কে একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, চীনের দীর্ঘ ইতিহাসের পাশাপাশি এখানে বড় একটি সাংস্কৃতিক বাজারও আছে। চীন-কাতারের যৌথ উদ্যোগ '২০১৬ চীন-কাতার সাংস্কৃতিক বর্ষ' কর্মসূচিতে দু'দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব দু'দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার একটি সেরা সুযোগ। এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ দেশ কাতার। বন্দরের সুবিধা ও প্রচুর জ্বালানি সম্পদ রয়েছে এখানে। দু'পক্ষের অবকাঠামো ব্যবস্থা ও জ্বালানি সম্পদের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই চীনা পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের সে অঞ্চলে আহ্বান জানায় কাতার ।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমৎকার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/তৌহিদ)