নারীকণ্ঠ
  2016-01-17 19:38:25  cri
প্রথম পর্বে আপনাদের জন্য প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে আছে 'নারীবান্ধব বিচার প্রক্রিয়া'।

প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থায় নারী অধিকার সুরক্ষা সহজসাধ্য নয়। নারী অধিকারের ক্ষেত্রে আইন ও বাস্তবতার মধ্যে কোনো মিল নেই। আইন প্রয়োগের জটিলতা অধিকার বাস্তবায়নের অন্তরায়।

বাংলাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। বাস্তবে যতো ঘটনা ঘটে তার খুব কমই গণমাধ্যমে আসে। নির্যাতনের অধিকাংশ ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। আদালতের দোড়গোড়ায় কিছু ঘটনা আসলেও এজন্য নারীকে ন্যায়বিচারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। নারীবান্ধব বিচার প্রক্রিয়া নারীকে ন্যায়বিচার পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

কার্যকর কোনো সামাজিক কার্যক্রম না থাকার ফলে নারী নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। দেশের প্রচলিত অনেক আইন নারী বান্ধব হলেও আইন বাস্তবায়ন বা বিচার প্রক্রিয়া নারীর জন্য অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক না হওয়াতে চুড়ান্তভাবে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। আমাদের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনুকূল নয়। নাগরিক হিসেবে এ বিষয়ে আমাদের কোনো সামাজিক উদ্যোগও নেই। নাগরিক উদ্যোগ তথা সামাজিক আন্দোলন না থাকলে নারী অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

উর্মি : দেশে প্রতি বছরই নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় গত বছর ৯৩৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন যার মধ্যে ৯৯ জনকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। এ ধরনের নির্যাতনের বেশির ভাগই প্রকাশ পায় না। নারী বা তার পরিবার সামাজিক মর্যাদাহানীর ভয়ে এসব ঘটনা গোপন রাখে। সেই সাথে বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক ধারনার ফলে তারা এ পথে পা বাড়ান না।

সামাজিক অবস্থার কারণে অনেক নির্যাতনই সামনে আসে না। লোক-লজ্জার ভয়ে নারীরা বা তার পরিবার এসব ঘটনা প্রকাশ করতে চায়না। এর পর গ্রাম্য-শালিশ ব্যবস্থা পর্যন্ত গড়ালে শেষ পর্যন্ত সব দোষ নারীর ঘাড়েই বর্তায়। আর আদালত পর্যন্ত যারা আসে, বিদ্যমান বিচার প্রক্রিয়ার ফরে ন্যায় বিচার রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে।

নারী কোনো শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে তার জন্য বিচার পাওয়া কঠিন। বিচার প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে বহুবার প্রায় একই ধরনের মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ধর্ষণ বা সব ধরনের শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। এসব ঘটনার তদন্ত, ডাক্তারি পরীক্ষা, আদালতে শুনানী-সবক'টি পর্যায়েই তাকে কঠিন এক মানসিক শাস্তি মেনে নিতে হয়। অর্থাত শারীরিক নির্যাতনের সাথে যোগ হয় মানসিক নির্যাতন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার নারীদের জন্য এক বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব আদালতে কেবল নারীর প্রতি সহিংসতারই বিচার হবে। ২০১৩ সালে আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন আছে। অন্যান্য আইনেও নারী ও শিশুদের জন্য সহায়ক বিধান রাখা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ আদালতের বিধানও আছে।

তবে, নারী নির্যাতনের বিচারের জন্য পৃথক ও বিশেষ আদালত করা হলে নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে তা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এসব আদালতের এক ধরনের দক্ষতাও গড়ে উঠবে। এতে স্বল্পতম সময়ে ন্যায়বিচার প্রদান করা সহজ হবে।

নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গিকারাবদ্ধ। এ লক্ষে আমাদের অর্জনও কম নয়। তাই নারী নির্যাতন বন্ধে আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে হবে। এ পথে সব ধরনের অন্তরায় দূর করতে হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একজন আলোকিত নারীকে নিয়ে আলোচনা করবো আমরা।

প্রিয় শ্রোতা, আর এখন আমরা আপনাদের এমন একজন নারীর কথা বলবো যিনি বিজ্ঞানের কল্যাণে সারা জীবন উতসর্গ করেছেন। নানা আবিস্কারে সমৃদ্ধ করেছেন বিজ্ঞানকে। আর তিনি হলেন চীনের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী 'ইয়েন ওয়েনইন'।

'ইয়েন ওয়েনইন' একজন চীনা কীটতত্ত্ববিদ। তিনি হোপেই প্রদেশের পিংসিয়াং জেলার নাগরিক। ১৯৪৭ সালে তিনি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক হন। তিনি চীনা বিজ্ঞান একাডেমীর শাংহাই কীটপতঙ্গ গবেষণালয়ের গবেষক ছিলেন। তিনি মাছজাত পরজীবী ও মাছরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে গবেষণা করেন। ১৯৬০ সালের পর তিনি ধারাবাহিকভাবে সারকারিয়ার শ্রেণী বিভাগ, বাহ্যিক অবয়ব, অভ্যাস, ভ্রূণের বর্ধন, জৈবভূগোল, তুলনামূলক শুক্রকীটবিদ্যা ও সাব-মাইক্রো কাঠামো প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করেন।

তিনি চীনের ১৬৪ ধরণের সারকারিয়া নিয়ে গবেষণা করে। এর উত্স সম্পর্কে নতুন ধারণা উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ১৪১ নতুন আকার, ১৮ নতুন মহাজাতি ও ৪ নতুন জাতি রয়েছে। তার গবেষণার ভিত্তিতে সারকারিয়ার শ্রেণী বিভাগের নতুন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৯ সালে তার গবেষণাগ্রন্থ 'চীনের জন্তুসমূহ : দি ক্লাস অব সারকারিয়া' প্রকাশিত হয়। ১৯৮৫ সালের পর তিনি মাটি ও প্রাণিবিদ্যার ওপর ধারাবাহিক গবেষণাথাবে করেন। তিনি ৬০জন পন্ডিতের সহযোগিতায় ৬টি আবহাওয়া মন্ডলে তিন হাজার ধরণের মাটি ও প্রাণীর অবয়ব, পরিবর্তনশীল নিয়ম ও মাটি পদার্থের পরিবর্তনে এর ভূমিকা এবং পরিবেশ দূষণের প্রভাব প্রভৃতি নিয়ে পরীক্ষা ও গবেষণা করেন।

ইয়েন ওয়েনইন 'চীনের উপ-গ্রীষ্মমন্ডলের মাটি ও প্রাণী', 'চীনের মাটি ও প্রাণীর মানচিত্র' এবং 'চীনের মাটি ও প্রাণী'সহ বিভিন্ন বই সংকলন করেছেন। ১৯৯১ সালে তিনি চীনা বিজ্ঞান একাডেমীর একাডেমিশিয়ান নির্বাচিত হন।

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে বিশ্ব নারীর টুকরো খবর বিভাগে প্রথমেই আলোচনা করবো যে খবরটি নিয়ে তা হলো, যেখানে পুরুষ নিষিদ্ধ। উর্মি, খবরটি বেশ ইন্টারেস্টিং। কি বলা হয়েছে এতে একটু বলো না বন্ধু।

বিশ্বের অনেক জায়গা কিংবা প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নারীরা প্রবেশ করতে পারেন না। কিন্তু পুরুষরা নিষিদ্ধ এমন কাহিনী হয়তো আমাদের কাছে অজানা এবং অবিশ্বাস্যও।

মান্না : তবে এটাই সত্যি,পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার উমোজা তেমনই একটি গ্রাম যেখানে শুধুই নারীদের বসবাস। অন্যায়,অত্যাচার,নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে নারীরা একে অপরের দেখভাল করে থাকেন।

উমোজা কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সামবুরু অঞ্চলে অবস্থিত। এ সম্প্রদায়ের প্রধান রেবেক্কা ললোসলি। তবে উমোজায় পুরুষদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি নেই।

১৯৯০ সালে ১৫ জন নারী মিলে গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত করেন। এদের সবাই ব্রিটিশ সৈন্য দ্বারা ধর্ষণের পর বেঁচে যান। এখন সেখানকার জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গ্রামটিতে প্রায় ২০০ শিশুর বসবাস।

এবার পরের খবর। 'মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যে মিস পুয়ের্তো রিকো বরখাস্ত' ।

মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত হলেন মিস পুয়ের্তো রিকো। টুইটারে পেজে ডেসটিনি ভেলেজ কয়েকটি মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেছেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদে চলচ্চিত্র নির্মাতা মাইকেল মুর একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেন। সেখানে 'উই আর অল মুসলিম' লেখা প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ছবি তুলে তা পোস্ট করা হয়। এর বিরুদ্ধে টুইট করেছেন ডেসটিনি ভেলেজ।

একটি টুইটে ডেসটিনি বলেছেন,'যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কার্মকান্ড করতে ও গ্যাস স্টেশন স্থাপন করতে মুসলিমরা আমাদের সংবিধান ব্যবহার করছে।' অন্য একটি টুইটে লিখেছেন,'যিশু,খ্রিস্টান ও মুসলমানদের সঙ্গে তুলনা হতে পারে না। যিশু ও খ্রিস্টানদের পবিত্র বইয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোনো বিষয় নেই। কিন্তু মুসলিমরা তেল ব্যবহার করে এই দেশসহ অন্য দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে।

ডেসটিনির এই টুইটারের বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে মিস পুয়ের্তো রিকো সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,ডেসটিনি ভেলেজ সাম্প্রতিক কাজ ও আচরণ আমাদের প্রোগাম,বোর্ডের সদস্য,স্পন্সর ও অংশীদার বা জাতীয় সংস্থার ন্যায়পরায়ণতা ও সততার সঙ্গে যায় না।

বিবৃতিতে বলা হয়,ভেলেজের কাজ সংস্থার সাথে বিরোধপূর্ণ। তার কাজের জন্য তাকে মিস পুয়ের্তো সংস্থা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তার মন্তব্য সংস্থার সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ভেলেজকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়,মিস পুয়ের্তো রিকো অর্গানাইজেশন বিতর্কিত কোনো আচরণ সহ্য করবে না। এতে ডেসটিনি ভেলেজ এর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিও অন্তভুক্ত করা হয়। মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়েছিলেন ডেসটিনি ভেলেজ। সংস্থাটিও তার মন্তব্যে তাদের কোনো দায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। পুয়ের্তো রিকো থেকে নির্বাচিত ২০১৬ সালে ডেসটিনি ভেলেজ মিস আমেরিকা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পরের খবরে আপনাদের জানাবো, আবারও ক্যারিয়ারে মনোযোগী হতে চান প্রীতি।

গতবছর গুঞ্জন উঠেছিল নতুন বছরে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন বলিউড তারকা প্রীতি জিনতা। প্রীতির কাছ থেকেও তেমন ইতিবাচক আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ক্যারিয়ারে এতোগুলো বছর পার করলেও নতুন করে আবারও ক্যারিয়ারের হিসেব কষছেন এই অভিনেত্রী।

আর নতুন বছরে এসে বিয়ের খবর উড়িয়ে দিয়েছেন প্রীতি নিজেই। ব্যক্তিজীবন নয়,আপাতত ক্যারিয়ারেই মন দিতে চান তিনি। দীর্ঘদিন বিরতির পর আবারও রূপালি পর্দায় ফিরতে চান তিনি। খুব তাড়াতাড়ি নিজের প্রযোজনায় একটি ছবিতে অভিনয় করবেন বলে জানা যায়।

প্রীতি বলেন,'বিয়ে নয়,আবারও ক্যারিয়ারে মনোযোগী হতে চাই। এখন সিনেমাতেই মন দেবো।' প্রীতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়,এখন শিকাগোতে রয়েছেন তিনি। সেখানে একের পর এক নতুন চিত্রনাট্য পড়ছেন। চলছে চিত্রনাট্য বাছাইয়ের কাজ। দিন কয়েকের মধ্যেই তার এই নতুন ছবির ঘোষণা করবেন বলিউড অভিনেত্রী।

যদিও নিন্দুকরা বলছেন,বি টাউনে নাকি আর কাজ পাচ্ছেন না প্রীতি।

সে কারণেই নিজের প্রযোজিত ছবি দিয়ে অভিনয়ে ফিরতে হচ্ছে তাকে। তবে প্রীতির কাছে কয়েকটি নতুন সিনেমার প্রস্তাবও আছে। কিন্তু সেদিকে না ভিড়ে এখন নিজের প্রযোজনা নিয়েই ব্যস্ত তিনি। প্রীতি এখন ক্যারিয়ারের যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন তাতে চরিত্র পছন্দের বিষয়ে একটু রুচিশীল হবেন তিনি।

বন্ধুরা, এখন আমরা অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্ব অর্থাত সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আর আজকের আলোচনার বিষয় 'জুয়ার দায় মেটাতে শিশু বিক্রির বিজ্ঞাপন'! ... কি সাংঘাতিক ঘটনা! তাই না মান্না?

হ্যাঁ উর্মি। খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা। এটা কি ভাবে সম্ভব অআমি বুঝি না। কোনো দেশে ঘটেছে এই অমানবিক ঘটনাটা?

ইসরায়েলে। জুয়ার দায় মেটাতে গিয়ে নিজের তিন মাসের শিশু সন্তানকে বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে দম্পতি। অনলাইনে নিজের সন্তান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তারা।

মজার ব্যাপর হলো, অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে একজন পুলিশ বেনামে কয়েকবার ওই শিশুর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং দেখা করে। তদন্তে দেখা যায় শিশুটির বাবা পাড় জুয়াড়ি এবং সব মিলিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার পাঁচ লক্ষ ডলার দেনা রয়েছে। শিশুটির বাবা তাকে ১ লাখ শেকেল বা ২৬ হাজার ডলার মূল্যে বিক্রি করতে সম্মত হয়। এক সময় শিশুটি সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে আসে আর তখনই পুলিশ তাকে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়। এই দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

তিন মাসের শিশুটির বিজ্ঞাপনে সুস্থ ও সবল উল্লেখ করা হলেও মেডিকেল চেক আপের পরে দেখা গেছে যথেষ্ট অযত্নের শিকার হচ্ছিল সে। বর্তমানে শিশুটি দেশটির রাজধানীর সমাজকল্যাণ কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রয়েছে।

(মান্না)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040