v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-06-06 16:59:03    
বিশ্বের খাদ্যশস্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে

cri

    জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বের খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন ৫ জুন ইতালির রোমে শেষ হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যায় মতভেদ থাকলেও বিশ্বে চলমান বিশ্ব খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা জনিত অবস্থার অবনতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পুনরায় কৃষি উন্নয়নের উদ্যোগ এবং "প্রত্যেকেই খাদ্য পাওয়ার অধিকার"শীর্ষক জাতিসংঘের এ সহস্রাব্দী উন্নয়নশীল লক্ষ্য বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

    গত বছর থেকে বিশ্বে খাদ্যশস্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এতে বিশেষ করে এ বছরের প্রথম তিন মাসে খাদ্যশস্যের দামের উর্ধগতির সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট এ বছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বে কৃষি পণ্যে দামের সূচক একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্যের দাম অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়া বিশ্বের ৮৫ কোটি অভুক্ত জনতার অবস্থার অবনতি ঘটেছে এবং হাইতিসহ কয়েকটি দেশে সামাজিক সহিংসতা বা রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং,এবারের সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। ১৮০টিরও বেশি দেশ ও বহু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবারের সম্মেলনে অংশ নেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি নেতৃবৃন্দ।

    তিনদিনব্যাপী সম্মেলনে বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা খাদ্য নিরাপত্তার চলমান অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন , জৈব জ্বালানি শিল্পের উন্নয়ন এবং উচ্চ কৃষি ভর্তুকি ও বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তার প্রভাবসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয় নিয়ে নিজেদের মতামত ব্যাখ্যা করেছেন । সম্মেলনের শেষ দিকে বিভিন্ন পক্ষ একটি চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে। ঘোষণাপত্রে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, বর্তমানে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যা রয়েছে, তবে ২০১৫ সালের আগেই অভুক্ত জনতার সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালাবে।

    সম্মেলনকালে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য ও কৃষি সাহায্য জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। এতে বিশেষ করে সবচে' অনুন্নত দেশগুলো এবং খাদ্যশস্যের উর্ধগতির দামের প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি সহায়তা জোরদার করবে। এ উদ্যোগ সব অংশগ্রহণকারীর ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। সম্মেলনের শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কমপক্ষে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য সমস্যার সমাধান এবং কৃষি উত্পাদনের আধুনিক উন্নয়ন করা যায়।

   খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন পক্ষ নিজেদের দৃঢ়তার সঙ্গে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে। তবে দেশের স্বার্থসহ বিস্তারিত সমস্যায় আরও মতভেদ রয়েছে। এর মধ্যে জৈব জ্বালানি শিল্প ও খাদ্য নিরাপত্তার সম্পর্কিত বিষয়টি বেশি বিতর্কিত । এবারে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জৈব জ্বালানি চাহিদা বেড়ে যাওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীরা আশা ব্যক্ত করেন যে, এবারের সম্মেলন জৈব জ্বালানি সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশনামূলক নীতি নির্ধারণ করতে পারবে।

    এছাড়া, কৃষি পণ্য বাণিজ্য সমস্যা এবারের সম্মেলনে আলোচনার ক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সবশেষে ঘোষণাপত্রে বিভিন্ন দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বানও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আর্জেনটিনাসহ কিছু কিছু দেশ এর তীব্র সমালোচনা করে।

   এবার সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে ব্যর্থতার পর্যবসিত হবে না এমন একটি যুদ্ধ। খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ়পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন পক্ষের উদ্যোগ এখন অত্যন্ত জরুরী।--ওয়াং হাইমান