v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-04-04 18:53:05    
ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে আফগানিস্তান সমস্যা নিয়ে বিশেষ অধিবেশন

cri
    ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের আফগানিস্তান সমস্যা বিষয়ক বিশেষ অধিবেশন ৩ এপ্রিল বিকালে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেষ্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে । সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পক্ষ আফগানিস্তান সমস্যায় যৌথভাবে দীর্ঘস্থায়ী দায়িত্ব পালন করার কথা আবার ঘোষণা করেছে । তবে তথ্য মাধ্যমের ধারণা , আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ন্যাটোর আফগানিস্তানে আরো বেশি সৈন্য পাঠানোর সমস্যা এবার অধিবেশনে সার্বিকভাবে সমাধান হয় নি । এসব প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবতায় পরিনত করা যায় , এ সমস্যার ওপর এখন দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন ।

    আফগানিস্তান সমস্যা হল এবার ন্যাটোর বুখারেস্ট শীর্ষ সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় । এর জন্য ন্যাটো বিশেষ করে এ সমস্যা নিয়ে একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে এবং আফগানিস্তানে ন্যাটোর সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে সম্মেলনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানায় । বিশেষ অধিবেশন শেষে "আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সাহায্য বাহিনীর কৌশলগত ভবিষ্যত্" নামক একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে । বিবৃতিতে আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীকে আরো বেশি সামরিক সহায়তা প্রদান করাসহ আফগানিস্তান সমস্যায় বিভিন্ন পক্ষের যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করা , আফগানিস্তান সরকারকে নিজের সামর্থ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমর্থন করা , ২০১০ সালে আফগানিস্তানে মোতায়েন আন্তর্জাতিক সৈন্যের সংখ্যা ৮০ হাজারে বাড়ানো এবং সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করা , আফগানিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা সম্পর্কিত সমন্বয় জোরদার করার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি প্রণয়ন করা এবং পাকিস্তানসহ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ।

    যদিও ন্যাটোর মহাসচিব জাপ দ্য হুপ শেফার , আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন অধিবেশন শেষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের অধিবেশনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং আফগানিস্তানের নিজের সামর্থ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন , তবে বিভিন্ন পক্ষ আফগানিস্তানে ন্যাটোর সৈন্য বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ।

    অধিবেশনে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৈন্য বাড়ানোর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয় নি । অধিবেশনে অংশগ্রণকারী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজী একই দিন পূর্ব আফগানিস্তানে প্রায় ৮ শো সৈন্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন । এর আগে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ৩ হাজার ৫ শো নৌসেনা পাঠানোর কথাও বলেছিল । জাপ দ্য হুপ শেফার বলেছেন , এবারের অধিবেশনে আরো বেশি দেশ আফগানিস্তানকে আরো বেশি সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ।

    বাইরে থেকে দেখলে হয়তো আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটোর সৈন্য সংখ্যার অভাব বোঝা যায় না । তবে আসলে তা ঠিক নয় । বর্তমানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানে মোতায়েন আন্তর্জাতিক বাহিনীর মধ্যে ৪০টিও বেশি দেশের ৪৭ হাজার সৈন্য আছে । এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয় নি । বরং গত দু'বছরে আরো অবনতি হয়েছে । এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন , ক্যানাডা ও হলান্ডের ২০ হাজারেরও বেশি সৈন্য দক্ষিণ ও পূর্ব আফগানিস্তানে তালিবানসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করেছে। সৈন্যের অভাবজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বরাবরই ন্যাটোর অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানো এবং দেশে নিজের বাহিনীর ওপর থাকা নিষেদ্ধাজ্ঞা দূরীভূত করার আহ্বান জানিয়েছে ।

    বলা যায় , ন্যাটোর এবারের আফগানিস্তান সমস্যা বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে সৈন্য বাড়ানোর সমস্যায় কোনো বাস্তব অগ্রগতি অর্জিত হয় নি । প্রতিশ্রুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ , তবে কীভাবে প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে পরিনত করা যাবে তা সতর্ক করে বিবেচনা করতে হবে। (শুয়েই ফেই ফেই)