v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-02 18:50:50    
২ ফেব্রুয়ারী

cri
    ১৯৪৯ সালের দোসোরা ফেব্রুয়ারী পেইপিং সিন হুয়া বেতারের অনুষ্ঠান চালু

    ১৯৪৯ সালের দোসোরা ফেব্রুয়ারী , পেইপিং সিন হুয়া বেতারের অনুষ্ঠান প্রচার শুরু । ১৯৪৯ সালের ২৫শে মার্চ চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন উত্তর সেন সি সিন হুয়া বেতার পেইপিংয়ে স্থানান্তরিত হয় , তার নামকরণ হয় পেইপিং সিন হুয়া বেতার । ১৯৫১ সালের মার্চ মাসে তার নতুন নাম করা হয় পেইচিং গণ বেতার। এই নাম এখনো ব্যবহার হচ্ছে । ৫০ বছরেরও বেশী সময়ের মধ্যে পেইচিং গণ বেতার দিন দিন উন্নত হচ্ছে। এখন তা একটি বহু বেতার-তরংগ , বহু পর্যায় , বহু ধরন আর বহুবিধ উন্নয়নের একটি বিরাটাকারের আঞ্চলিক বেতারে রূপান্তরিত হয়েছে ।

    পেইচিং বেতার পেইচিংয়ের ছাও ইয়াং এলাকায় অবস্থিত । এখন এতে মোট ৭ শোরও বেশী কর্মকর্তা এবং সাতটি চ্যানেল আছে, প্রতিদিন মোট ১২৬ ঘন্টা ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত প্রচারিত হয় । পেইচিং ছাড়াও ,হোপেই , অন্তর্মংগলিয়া , থিয়েন চিন , সান সি , সান তুং , লিয়াও নিন প্রভৃতি প্রদেশ বা শহরেও পেইচিং গণ বেতারের অনুষ্ঠান শোনা যায় ।

    পেইচিং গণ বেতারের সাতটি চ্যানেল হলো: অর্থনৈতিক চ্যানেল, সংবাদ চ্যানেল, সংগীত চ্যানেল, যোগাযোগ চ্যানেল, সাংস্কৃতি আর শিল্পকলা চ্যানেল, শিক্ষা চ্যানেল আর জীবন চ্যানেল ।

    ** দোসরা ফেব্রুয়ারী "বীরত্বপূর্ণবাহিনীর অগ্রযাত্রার গানের" জন্ম

    ১৯৩৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সাংহাই সাংস্কৃতিক মহলে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা থিয়েনহান "সংগ্রামের অগ্রগামী সন্তানরা"নামে চলচ্চিত্র রচনা করার সময়ে গ্রেফতার হন । জেলে থেকে তিনি বীরত্বপূর্ণ বাহিনীর অগ্রযাত্রার গান রচনা করেন । এই গান পরে চলচ্চিত্রের প্রধান গান হয়ে দাঁড়ায় । ১৯৩১সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার পর জাপান উত্তর-পূর্ব চীনের তিনটি প্রদেশ দখল করে । চীনা জাতির জীবন-মৃত্যুর এই সন্ধিক্ষনে বুদ্ধিজীবীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বকাটিয়ে সাহসের সঙ্গে জাপান বিরোধী যুদ্ধ-ফ্রন্টে ঝাঁপিয়ে পড়েন । চলচ্চিত্রটিতে সেই কাহিনী বর্ননা করা হয়। চলচ্চিত্রটি দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে , বিশেষ করে জাপানের বিরুদ্ধে দেশ ত্রান আন্দোলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে গানটি সমগ্র চীনের ছড়িয়ে পড়ে ।এই গানটিকে চীনা জাতির মুক্তির রণশিঙা বলে ডাকা হত । বীরত্বপূর্ণবাহিনীর অগ্রযাত্রার গান পরে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীতে পরিণত হয় । গানটি ১৯৩৫ সালে ২ ফেব্রুয়ারী রচনা করা হয় । গানের কথাগুলো লিখেছেন নাট্যকার থিয়েনহান ,গানটিতে সুর দিয়েছেন চীনের নতুন সংগীত-আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা নিয়ের আর ।

    **বিশ্বের বৃহত্তম রেলস্টেশন---নিউ ইয়ার্ক কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন চালু

    ১৯১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বিশ্বের বৃহত্তম রেলস্টেশন---নিউ ইয়ার্ক কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় । এই স্টেশনের দরজা সবার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে ।

   ** ১৯৩৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারী ফান ছাংচিয়াং উত্তর শেনপেই এলাকায় গিয়ে চীনের বিপ্লব সম্বন্ধে রিপোর্ট লিখেছেন

    ১৯৩৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারী চীনের অভিজ্ঞ সংবাদদাতা ফান ছাংচিয়াং একাই সি আন শহরে প্রবেশ করে " সি আন ঘটনা" সম্পর্কে রিপোর্ট লিখেন এবং চৌ এনলাই ও ইয়ে চিয়ানইংর সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে কথাবার্তা বলেন । ৯ ফেব্রুয়ারী ফান ছাংচিয়াং ইয়ানআনে প্রবেশ করে পরাপর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং মাও সেতুংয়ের সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে কথা বলেন । তারপর ফান ছাংচিয়াং ইয়ানআনের তথ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে রিপোর্ট রচনা করেন এবং "উত্তর শেনসির ভ্রমন"নামে রিপোর্ট"তাকোং পত্রিকায়"প্রকাশ করেন । এই রিপোর্ট চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও লাল ফৌজ সম্বন্ধে জানতে সারা চীনের জনগণকে সাহায্য করেছে এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জাপানী হামলা বিরোধী জাতীয় যুক্ত ফ্রন্টের নীতিও ব্যাখ্যা করেছে ।