v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-02 16:43:27    
৩ ফেব্রুয়ারি

cri
    ** চীনের প্রখ্যাত লেখক লাও সের জন্ম

    লাও সে ছিলেন মান জাতির মানুষ। তঁর আরেকটি নাম হলো সু ছিন ছুন, তিনি ১৮৯৯ সালের তেসোরা ফেব্রুয়ারী পেইচিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯১৮ সালের গরমকালে তিনি উত্তম ফলাফল নিয়ে পেইচিং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন । তার পর , তিনি পেইচিং ১৭তম প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকহন । ১৯২৪ সালের গরমকালে তিনি বৃটেনের লন্ডণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্য ইন্সটিটিউটের আমন্ত্রণে সেখানে চীনা ভাষা শিখান । বৃটেনে কাজ করার সময়ে তিনি উপন্যাসলিখতে শুরু করেন । " লাও চাংয়ের দ্রশনশাস্ত্র" নামে এই পূর্ণদৈর্ঘ্যের উপন্যাস হলো তাঁর প্রথম সাহিত্য কর্ম । ১৯২৬ সালের জুলাই মাস থেকে এই উপন্যাস " মাসিক উপন্যাস পত্রিকায়" প্রকাশিত হতে থাকে। শীগ্গীরই এই উপন্যাস সাহিত্য মহলে অলোড়ন সৃষ্টি করে। তারপর তিনি যথাক্রমে " চাও চি ইয়ূ" আর " আর মা" নামে দুটো পূর্ণদের্ঘ্যের উপন্যাস প্রকাশ করেন । এসব সাহিত্যকর্ম নতুন সাহিত্য মহলে লাও সের স্থপতির মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৩০ সালে লাও সে স্বদেশে ফিরে আসার পর যথাক্রমে চি লু বিশ্ববিদ্যালয় আর সান তুং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । এই সময়ে , তিনি " মাও চেন চি" , " লুও থুও সিয়াং চি" , " তালাক" প্রভৃতি পূর্ণদের্ঘ্যের উপন্যাস, " ইউয়ূ ইয়া " , " আমার এই জীবন" প্রভৃতি মাঝারি আকারের উপন্যাস আর " ওয়েই সেন" প্রভৃতি ছোটগল্প লিখেন । ১৯৪৪ সাল থেকে তিনি " চার বংশের পরিবার " নামে প্রায়ই দশ লক্ষ শব্দ সম্বলিত একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করেন । লাও সে চীনের সাহিত্য ও শিল্পকলা ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান , পেইচিং সাহিত্য ও শিল্পকলা ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আর জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি আর চীনা জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির স্ট্যান্টিং কমিটির সদস্যের দায়িত্বও পালন করেন ।

    ** লিচিয়াংয়ে রিক্টার স্কেলের ৭ মাত্রার ভূমিকম্প

    প্রাচীন নগর লিচিয়াং চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইয়ুন নান প্রদেশের লিচিয়াং নাসি জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলায় অবস্থিত। চীনের সুং রাজবংশের শেষ দিকে আর ইউয়ান রাজবংশের প্রথম দিকে (খ্রষ্টাব্দ ১৩ শতাব্দীর শেষ পর্যায়) এই নগরের নির্মান কাজ শুরু হয়। এই প্রাচীন নগর ইয়ুন নান-গুয়েযৌ মালভূমিতে অবস্থিত। এই নগর সমুদ্র-সমতল থেকে ২৪০০ মিটার উঁচু । গোটা নগরের আয়তন ৩ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। প্রাচীনকাল থেকে এটা হল নাম-করা ব্যস্ত বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ নগর। বতর্মানে লিচিয়াং নগরে ৬২০০টিরও বেশী পরিবার বসবাস করে, লোকসংখ্যা ২৫ হাজারেও বেশি । তাদের অধিকাংশই হলেন নাসি জাতির লোক । তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশের লোক এখনো ব্রোঞ্জ ও রৌপ্যের জিনিসপত্র তৈরী এবং চামড়া ও রেশম, বস্ত্র, মদ বানানো প্রভৃতি ঐতিহ্যিক হস্ত শিল্প আর বাণিজ্যিক তত্পরতায় নিয়োজিত হন।

    ১৯৯৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি লিচিয়াংয়ে রিক্টার স্কেলের ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্প হওয়ার পর ভূমিক্প প্রতিরোধ আর ত্রাণকর্ম পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা দ্রুত দুর্গতদের কাছে গিয়েছেন। তাঁরা দুর্গতদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আহত ও নিহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

    ** চীন -উরুগুয়ায়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন

    উরুগুয়ায় দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। তার আয়তন ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার, লোক সংখ্যা ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার । সরকার ভাষা হচ্ছে স্পেনিশ । ১৯৮৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চীনের সঙ্গে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।