v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-11-11 10:14:00    
১২ নভেম্বর

cri
** গণতান্ত্রিক বিপ্লবের অগ্রদূত সান ইয়াত্ সেনের জন্ম

 ১৮৬৬সাল(ছিং রাজবংশের থংচি সম্রাটের শাসনামলের পঞ্চম বছর)-১২ই নভেম্বর চীনের আধুনিককালের গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মহান অগ্রদূত সান ইয়াত্ সেন কুয়াংতুং প্রদেশের সিয়াং সান ( বর্তমানের চুংসান জেলা)-র ছুই হেন গ্রামের একটি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । সান ইয়াত্ সেনের আগেকার নাম সেন ওয়েন , স্টাইল দে মিন , সাহিত্যিক নাম রি সিং এবং বর্তমানে পরিবর্তিত নাম সান ইয়াত্ সেন ।

 তিনি যৌবন কালে কুয়াংতুং প্রদেশের জনগনের সংগ্রামী ঐতিহ্যের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে (চীনের ঐতিহাসিক মহান কৃষক বিদ্রোহ ) থাই পিং বিপ্লবব্রতের প্রতি উত্সুক ছিলেন ।

 ১৯০৫ সালে টোকিওতে জাপানে অবস্থানরত চীনা বিপ্লবীদের সংগে যোগাযোগ করে এবং ছিন রাজবংশ বিরোধী সংগঠন সিংচুনহুয়ে , হুয়াসিংহুয়ে ও কুয়াংফুহুয়েকে একত্রিত করে চীনের ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন । "বর্বর বিদেশী শক্তিকে তাড়িয়ে দেয়া , চীনকে পুনরুদ্ধার করা , চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ও সমান ভূমির অধিকারের" বিপ্লবী কর্মসূচী নির্ধারণ করেন । পরে "মিন পাও"পত্রিকার মুখবন্ধে আবার জাতি , গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণজীবিকা'র তত্ত্ব উত্থাপন করেন । ১৯১৪ সালে জাপানে চীনা বিপ্লবী পার্টি গঠন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন । এরপর দু' দু'বার "ইউয়ান সি খাইয়ের নিন্দার ঘোষণা" প্রকাশ করে ইউয়ান সি খাইয়ের রাজতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের বিরোধিতা করেন । ১৯১৭ সালে তুয়ান ছি রুই কংগ্রেস ও "অস্থায়ী আইন"পুনরুদ্ধার প্রত্যাখ্যান করেন । তিনি কুয়াংচৌয়ে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করেন , আইন রক্ষার সরকার গঠন করেন এবং নৌ ও স্থল বাহিনীর বড় মার্শাল নির্বাচিত হন ও উত্তরমুখী অভিযান চালানোর দৃঢ় সংকল্প নেন । ১৯১৮ সালে কুয়াংসি প্রদেশের যুদ্ধবাজ ও রাজনীতিকদের চাপে পদত্যাগ করে সাংহাইয়ে সরে যেতে বাধ্য হন ।পরের বছরে "সাপ্তাহিক ভাষ্য" ও "গঠনকাজ" নামে দুটি সাময়িকী প্রকাশ করেন , "দেশগঠনের রণনীতি" লেখেন , "শিল্প পরিকল্পনা" প্রকাশ করেন এবং চীনা বিপ্লবী পার্টিকে চীনের কুওমিংতাং পার্টিতে রূপান্তরিত করেন । ১৯২১ সালে কুয়াংচৌয়ে চীন প্রজাতন্ত্র সরকারের জরুরী পরিস্থিতিতে মহা-প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন ।

 ১৯২৩ সালে তিনি "রাশিয়ার সংগে ঐক্যবদ্ধ হওয়া , কমিউনিষ্ট পার্টির সংগে ঐক্যবদ্ধ হওয়া , কৃষক ও শ্রমিকদের সাহায্য করা"র নীতি উত্থাপন করেন । ১৯২৪ সালের জানুয়ারী মাসে কুয়াংচৌয়ে কুওমিনতাং পার্টির প্রথম জাতীয় কংগ্রস অনুষ্ঠিত হয় , চীনা বিপ্লবী পার্টিকে চীনের কুওমিনতাং পার্টিতে রূপান্তরিত করার ঘোষণা প্রকাশিত হয় , পার্টির কর্মসূচী ও পার্টির গঠনতন্ত্র গৃহীত হয় , জাতি,গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণজীবিকা'র পুরোনো তত্ত্বকে রাশিয়ার সংগে ঐক্যবদ্ধ হওয়া , কমিউনিষ্ট পার্টির সংগে ঐক্যবদ্ধ হওয়া , কৃষক ও শ্রমিকদের সাহায্য করা'র নতুন তত্ত্বে বিকশিত করা হয় এবং কুওমিনতাং পার্টি ও কমিউনিষ্ট পার্টির প্রথম সহযোগিতা বাস্তবায়িত হয় । একই সালের জুন মাসে হুয়াংফু সামরিক অফিসার বিদ্যালয় খোলেন । নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রের ব্যাপারাদি আলোচনার জন্য চীনের উত্তরাংশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন । এ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত একটি ঘোষণায় চীনের জাতীয় গণ সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং বিদেশের সংগে স্বাক্ষরিত অসম চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানান । সেই বছরের শেষদিকে তিনি পেইচিং পৌঁছেন এবং উত্তর চীনের যুদ্ধবাজদের সংগে দৃঢ় সংগ্রাম করেন। দীর্ঘকালের পরিশ্রমের ফলে তার স্বাস্থ্যের দিনদিন অবনতি ঘটে । ১৯২৫ সালের ১২ই মার্চ পেইচিংয়ে তার মৃত্যু হয় ।

** ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর চীন ও রোয়ান্ডার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত

 রোয়ান্ডার পুরোনাম রোয়ান্ডা প্রজাতন্ত্র। আফ্রিকার মধ্য-পূর্বাঞ্চলে এবং নিরক্ষীয় রেখার দক্ষিণাংশে অবস্থিত এক স্থল-বেষ্টিত দেশ। আয়তন ২৬৩৩৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭২ লাখ । হুদু, তুসি এবং টওয়ার এই তিনটি সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত। সরকারী ভাষা রোয়ান্ডানএবং ফরাসী। অধিবাসীদের ৪৫ শতাংশ ক্যাথলিক খ্রীষ্টান, ৪৪ শতাংশ আদিম ধর্ম বিশ্বাস করেন, বাকিরা প্রটেস্ট্যান্ট খ্রীষ্টান এবং মুসলমান । রাজধানী কিগালি। বনাঞ্চলের আয়তন সারা দেশের আয়তনের প্রায় শতকরা ২০.৯ ভাগ। রোয়ান্ডা হচ্ছে কৃষি ও পশুপালন প্রধান দেশ। দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৯৬ ভাগ ১৯-১১-১৯৮২নবম এশিয় গেমসের উদ্বোধন কৃষক এবং পশুপালক। পশুপালন শিল্প অপেক্ষাকৃত উন্নত। রোয়ান্ডা হচ্ছে জাতিসংঘের ঘোষিত পৃথিবীতে সবচেয়ে অনুন্নত দেশের অন্যতম। ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।